কার্বন
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
|
|||||||||||||||||||||||||
সাধারণ | |||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
নাম, প্রতীক, সংখ্যা | কার্বন, C, 6 | ||||||||||||||||||||||||
রাসায়নিক শ্রেণী | অধাতু | ||||||||||||||||||||||||
শ্রেণী, পর্যায়, ব্লক | ১৪, ২, পি | ||||||||||||||||||||||||
স্বভাবজাত প্রকৃতি | black (graphite) colorless (diamond) ![]() |
||||||||||||||||||||||||
প্রমিত পারমানবিক ভর | 12.0107(8) g·mol−1 | ||||||||||||||||||||||||
ইলেকট্রন বিন্যাস | 1s2 2s2 2p2 | ||||||||||||||||||||||||
শক্তিস্তর প্রতি ইলেকট্রন সংখ্যা | 2, 4 | ||||||||||||||||||||||||
ভৌত বৈশিষ্ট্যসমূহ | |||||||||||||||||||||||||
দশা | solid | ||||||||||||||||||||||||
ঘনত্ব (কক্ষ তাপমাত্রা কাছাকাছি) | (graphite) 2.267 গ্রাম·সেমি−৩ | ||||||||||||||||||||||||
ঘনত্ব (কক্ষ তাপমাত্রা কাছাকাছি) | (diamond) 3.513 গ্রাম·সেমি−3 | ||||||||||||||||||||||||
গলনাংক | ? triple point, ca. 10 MPa and (4300–4700) K (4027–4427 °C, 7280–8000 °F) |
||||||||||||||||||||||||
স্ফুটনাংক | ? subl. ca. 4000 K (3727 °C, 6740 °F) |
||||||||||||||||||||||||
ফিউশনের এনথালপি | (graphite) ? 100 Kj.mol−1 | ||||||||||||||||||||||||
ফিউশন তাপ | (diamond) ? 120 Kj.mol−1 | ||||||||||||||||||||||||
বাষ্পায়ন তাপ | ? 355.8 Kj.mol−1 | ||||||||||||||||||||||||
তাপধারণ ক্ষমতা | (২৫ °C) (graphite) 8.517 J·mol−1·K−1 |
||||||||||||||||||||||||
তাপধারণ ক্ষমতা | (২৫ °C) (diamond) 6.115 J·mol−1·K−1 |
||||||||||||||||||||||||
|
|||||||||||||||||||||||||
পারমানবিক বৈশিষ্ট্য | |||||||||||||||||||||||||
কেলাস গঠন | hexagonal | ||||||||||||||||||||||||
জারণ অবস্থা | 4, 2 (mildly acidic oxide) |
||||||||||||||||||||||||
তড়িৎঋণাত্বকতা | 2.55 (পাউলিং স্কেল) | ||||||||||||||||||||||||
আয়নীকরণ শক্তি (আরও) |
প্রথম: 1086.5 kJ·mol−1 | ||||||||||||||||||||||||
দ্বিতীয়: 2352.6 kJ·mol−1 | |||||||||||||||||||||||||
তৃতীয়: 4620.5 kJ·mol−1 | |||||||||||||||||||||||||
পারমানবিক ব্যাসার্ধ্য | 70 pm | ||||||||||||||||||||||||
পারমানবিক ব্যাসার্ধ্য (calc.) | 67 pm | ||||||||||||||||||||||||
সমযোজী ব্যাসার্ধ্য | 77 pm | ||||||||||||||||||||||||
ভ্যান ডার ওয়াল্স ব্যাসার্ধ্য | 170 pm | ||||||||||||||||||||||||
বিশেষ দ্রষ্টব্য | |||||||||||||||||||||||||
চৌম্বক ক্রম | diamagnetic | ||||||||||||||||||||||||
তাপীয় পরিবাহকত্ব | (৩০০ K) (graphite) (119–165) W·m−1·K−1 |
||||||||||||||||||||||||
তাপীয় পরিবাহকত্ব | (৩০০ K) (diamond) (900–2320) W·m−1·K−1 |
||||||||||||||||||||||||
তাপীয় পরিবাহকত্ব | (৩০০ K) (diamond) (503–1300) মিমি²/s |
||||||||||||||||||||||||
মোহ্স কাঠিন্য | (graphite) 1-2 | ||||||||||||||||||||||||
মোহ্স কাঠিন্য | (diamond) 10.0 | ||||||||||||||||||||||||
সিএএস নিবন্ধন সংখ্যা | 7440-44-0 | ||||||||||||||||||||||||
নির্বাচিত সমাণুকসমূহ | |||||||||||||||||||||||||
|
|||||||||||||||||||||||||
তথ্যসূত্র | |||||||||||||||||||||||||
কার্বন (রাসায়নিক সংকেত C, পারমাণবিক সংখ্যা ৬) একটি মৌলিক পদার্থ। এটি পৃথিবীর জীবজগতের প্রধান গাঠনিক উপাদান।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা] আবিষ্কারের ইতিহাস
কার্বন কবে আবিষ্কৃত হয়েছিল তা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। কারণ আগুন আবিষ্কারের আগে থেকেই মানুষ কার্বনের সাথে পরিচিত ছিল। বজ্রাঘাতের ফলে পুড়ে যাওয়া কাঠের মাধ্যমেই মানুষ প্রথম কার্বনের সাথে পরিচিত হয়। আগুন আবিষ্কারের পর কার্বন হয় মানুষের নিত্যসঙ্গী। কারণ এটি অতিমাত্রায় দাহ্য একটি বস্তু। কার্বন পদার্থটির সাথে পরিচিত থাকলেও এটি যে একটি মৌলিক পদার্থ তা মানুষ বেশিদিন আগে জানতে পারেনি। এমনকি কার্বন নামটির ইতিহাস বেশি প্রাচীন নয়। ১৭৮৯ সালে এন্টনি ল্যাভয়সিয়ে কর্তৃক সংকলিত মৌলিক পদার্থের তালিকায় কার্বন উপস্থিত ছিল। মূলত ল্যাভয়সিয়েই প্রথম ব্যক্তি যিনি প্রমাণ করেছিলেন কার্বন একটি মৌলিক পদার্থ। কয়লা ও অন্যান্য যৌগের দহন পরীক্ষা করে তিনি এই প্রমাণ পেয়েছিলেন।
প্রকৃতিতে কার্বনের দুইটি বহুরুপ রয়েছে। একটি হীরক এবং অন্যটি গ্রাফাইট। অনেক আগে থেকেই মানুষ এ পদার্থ দুটিকে চিনতো। এমনকি উচ্চ তাপমাত্রায় হীরাকে দহন করালে যে অবশেষ হিসেবে কিছু পাওয়া যায়না তাও মানুষের জানা ছিল। কিন্তু এই পদার্থ দুটিকে সম্পূর্ণ ভিন্ন পদার্থ হিসেবে মনে করা হতো। কার্বন ডাই অক্সাইড আবিষ্কারের পর এই সমস্যার সমাধান হয়। ল্যাভয়সিয়ে দেখেন যে, হীরক এবং কাঠকয়লা দুটির দহনেই কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয়। এ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া গিয়েছিল যে এরা অভিন্ন পদার্থ। ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দে Methods of Chemical Nomenclature নামক গ্রন্থে (ল্যাভয়সিয়ে, এল. গুইটন ডি. মারভিউ, সি. বারথোলেট এবং এ. ফোউরক্রই কর্তৃক লিখিত) প্রথম কার্বনেয়াম (কার্বন) নামটির উল্লেখ পাওয়া যায়। ল্যাটিন নাম তথা কার্বনেয়াম আবার সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে। সংস্কৃত ভাষায় ক্রা শব্দের অর্থ ফোটা। ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দে মৌলটির নাম কার্বন দেয়া হয়েছিল।
১৭৯৭ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী এস. টেন্যান্ট আবিষ্কার করেন, সম পরিমাণ হীরক ও গ্রাফাইটের দহনে সমআয়তন কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয়। অবশেষে ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে এল. গুইটন ডি. মারভিউ নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করেন যে হীরক, গ্রাফাইট এবং কোকের একমাত্র উপাদান হচ্ছে কার্বন। এর বিশ বছর পর তিনি সতর্কতার সাথে উত্তপ্ত করে হীরককে গ্রাফাইট এবং গ্রাফাইটকে কার্বন ডাই অক্সাইডে পরিণত করতে সমর্থ হন। কিন্তু গ্রাফাইট থেকে হীরক তৈরীর মত প্রযুক্তি তখনও ছিলনা। অবশেষে ১৯৫৫ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের একটি দল ৩০০০° সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা এবং ১০৯ প্যাসকেল চাপে গ্রাফাইট থেকে হীরক সংশ্লেষণ করতে সক্ষম হন। এর কিছুদিন পর সোভিয়েত ইউনিয়নে কির্বন নামে আরেকটি পদার্থ তৈরী করা হয় যাকে কার্বনের তৃতীয় বহুরুপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই পদার্থের ক্ষেত্রে কার্বনের পরমাণুগুলো একটির সাথে আরেকটি সংযুক্ত হয়ে লম্বা শিকল তৈরী করে। এটি দেখতে অনেকটা ভূসিকালির মত।
[সম্পাদনা] আরও দেখুন
[সম্পাদনা] ব্যক্তি
- এন্টনি ল্যাভয়সিয়ে
- এল. গুইটন ডি. মারভিউ
- সি. বারথোলেট
- এ. ফোউরক্রোই
- এস. টেন্যান্ট
[সম্পাদনা] অন্যান্য
- হীরক
- গ্রাফাইট
- কয়লা
- জৈব যৌগ