চেন্নাই
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চেন্নাই | |
রাজ্য - জেলা |
তামিল নাড়ু - চেন্নাই • কাঁচিপুরম • তিরুবাল্লুর |
ভৌগলিক স্থানাংক | |
এলাকা - উচ্চতা |
১,১৮০ km² - ৬ m |
সময় অঞ্চল | IST (UTC+5:30) |
জনসংখ্যা (২০০৬) - ঘনত্ব - নগর এলাকা (২০০৬) |
৪,৩৫২,৯৩২ - ৫,৮৪৭/km² - ৬,৯৫৭,৬৬৯ (৪র্থ) |
Mayor | এম. সুব্রমনিয়ন |
কোড তালিকা - ডাক - টেলিফোন - যানবাহন |
- ৫০০ xxx - +৯১ ৪৪ - TN-০১ থেকে TN-২২ |
ওয়েবসাইট: www.chennaicorporation.com |
চেন্নাই সহায়িকা·তথ্য (তামিল: சென்னை) বা পূর্বতন মাদ্রাজ সহায়িকা·তথ্য (তামিল: மதறாஸ் মাড্রাস্) ভারতের তামিল নাড়ু রাজ্যের রাজধানী এবং দেশটির চতুর্থ বৃহত্তম মেট্রোপলিটান শহর। এটি বঙ্গোপসাগরের করমন্ডল উপকূলে অবস্থিত। ৩৬৮ বছরের পুরনো এই শহরের জনসংখ্যা আনুমানিক ৬.৯১ মিলিয়ন (২০০৬)[১]; জনসংখ্যার দিক থেকে এটি পৃথিবীর ৩৬তম বৃহত্তম মেট্রোপলিটান শহর।
চেন্নাই একটি শিল্প ও বাণিজ্যের একটি বড় কেন্দ্র এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও মন্দির স্থাপত্যের জন্য বিখ্যাত। চেন্নাই ভারতের মোটরগাড়ি শিল্পের রাজধানী। এখানে ভারতের মোটরগাড়ি শিল্পের প্রায় চল্লিশ শতাংশ কোম্পানির ভিত্তি রয়েছে। ভারতে উৎপাদিত গাড়ির একটি প্রধান অংশ এখানে তৈরি হয়। চেন্নাইকে দক্ষিণ এশিয়ার ডেট্রয়েট হিসেবেও উল্লেখ করা হয়।[২] ইদানিং শহরটি পশ্চিমা দেশ থেকে আগত আউটসোর্স-কৃত কর্মের একটি প্রধান কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। শহরটির পূর্ব উপকূলে রয়েছে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিনা সমুদ্র-সৈকত, যা পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র-সৈকতগুলির একটি। এই শহরটি খেলাধুলার একটি উল্লেখযোগ্য স্থান হিসেবেও পরিচিত এবং ভারতের একমাত্র এটিপি টেনিস প্রতিযোগিতা চেন্নাই ওপেন এই শহরেই আয়োজিত হয়।[৩][৪]
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা] নাম
চেন্নাইয়ের পুরনো নাম মাদ্রাজ-এর উৎপত্তি মাদ্রাজপত্তনম থেকে। ১৬৩৯ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি একটি স্থায়ী উপনিবেশ স্থাপনের জন্য মাদ্রাজপত্তনমকে নির্বাচন করে। চেন্নাপত্তনম নামে একটি গ্রাম এর দক্ষিণে অবস্থিত ছিল। পরবর্তীকালে এই দুই শহর একত্রিত করা হয় এবং ব্রিটিশদের পছন্দের কারণে মাদ্রাজ নামে পরিচিত হয়। তবে স্থানীয় লোকজন শহরটিকে চেন্নাপত্তনম বা চেন্নাপুরি হিসেবে উল্লেখ করতেন।
১৯৯৬ সালের আগস্ট মাসে এই শহরের নাম মাদ্রাজ থেকে পরিবর্তন করে চেন্নাই করা হয়, [৫] কারণ মাদ্রাজ শব্দটিকে পর্তূগীজ শব্দ মনে করা হত। মনে করা হত এই শব্দটি পর্তুগীজ মাদ্র-ডি-সোইস নামক সরকারী কর্মচারীর নাম হতে নেয়া, যিনি অত্র এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করা প্রথম দিককার লোক। কিন্তু কিছু লোক মনে করে মাদ্রাজ শব্দটি তামিল ভাষার মূল শব্দ বরং চেন্নাই শব্দটি অন্য কোন ভাষা হতে নেয়া।
[সম্পাদনা] ইতিহাস
চেন্নাইয়ের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল প্রথম শতাব্দী থেকেই একটি প্রশাসনিক, সামরিক, এবং অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই অঞ্চলটি বিভিন্ন ঐতিহাসিক দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্য, যেমন পল্লব, চোল, পান্ড্য, এবং বিজয়নগর সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। মাইলাপোর শহর, যা বর্তমান চেন্নাই মহানগরীর একটি অংশ, একসময় পল্লব রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ছিল।
পর্তুগিজরা ১৫২২ সালে এখানে উপস্থিত হয়। পর্তুগিজরা সাও তোমে (São Tomé) নামে একটি বন্দর নির্মাণ করেছিল। ১৬১২ সালে অঞ্চলটি ওলন্দাজদের হাতে যায়, যারা শহরের উত্তরে পুলিকটের কাছে নিজেদের স্থাপন করে।[৬]
১৬৩৯ সালের ২২শে আগস্ট বন্ডবাসীর নায়ক (Nayak of Vandavasi) দামের্লা ভেঙ্কটদিরি (Damerla Venkatadri) একটি স্থায়ী উপনিবেশের জন্য ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে এই জমি প্রদান করেন। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ফ্রান্সিস ডে কোরামান্ডাল কোস্ট বিজয়নগর রাজা, পেদ বেনকতা রায় বা তৃতীয় বেনকতা (Peda Venkata Raya) থেকে অর্জন করেছিল, চন্দ্রগিরিতে।
এক বছর পরে, ফোর্ট সেন্ট জর্জ নির্মাণ হয়, যেটি পরিবর্তনে ঔপনিবেশিক শহরের কেন্দ্রস্থল হয় যায়। ১৭৪৬ সালে, ফরাসিরা ফোর্ট সেন্ট জর্জ এবং মাদ্রাজ কে গ্রেফতার করেছিল under জেনেরাল লা বুর্দনে (Bourdonnais), মরিশাসের রাজ্যপাল। তাঁড়া শহরটি এবং দূরবর্তী গ্রামগুলিকে লুঠ করেছি।
[সম্পাদনা] ভূগোল
চেন্নাই ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে, তামিল নাড়ু রাজ্যের উত্তর-পূর্ব কোণায় ১৩.০৫ উঃ অক্ষাংশ এবং ৮০.১৮ পূঃ [৭] দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। শহরটি পূর্বাঞ্চলীয় সমভূমি নামক একটি সমতল উপকূলীয় সমভূমির ওপর অবস্থিত। সমুদ্রতল থেকে শহরটির গড়পড়তা উচ্চতা ৬ মিটার (২০ ফুট), এবং এর উচ্চতম বিন্দু সমুদ্রতল থেকে ৬০ মিটার (২০০ ফুট) উচ্চতায় অবস্থিত। চেন্নাইয়ের ভেতর দিয়ে দুটি নদী সর্পিলাকারে প্রবাহিত: মধ্যাঞ্চলীয় কুয়ম নদী এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় আদিয়ার নদী। দুটি নদীই গার্হস্থ্য ও শিল্পজাত বর্জ্যের কারণে দূষণের শিকার। আদিয়ার নদীটি কুয়ম নদীর তুলনায় কম দূষিত; স্থানীয় সরকার নিয়মিতভাবে এ নদীর তলদেশে সঞ্চিত পলি অপসারণ করে ও নদীটিকে শোধন করে। আদিয়ারের একটি সংরক্ষিত মোহনা প্রচুর পশুপাখির প্রাকৃতিক আবাসস্থল। উপকূলের থেকে ৪ কিমি ভেতরে উপকূলের সমান্তরালে অবস্থিত বাকিংহাম খাল নদী দুটিকে সংযুক্ত করেছে। ওত্তেরি নুল্লা নামের পূর্ব-পশ্চিমে বহমান একটি উপনদী উত্তর চেন্নাইয়ের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বেসিন সেতুর কাছে বাকিংহাম খালের সাথে মিলিত হয়েছে।
শহরের পশ্চিম প্রান্তে বিভিন্ন আকারের বেশ কিছু হ্রদ রয়েছে। এদের মধ্যে রেড হিলস হ্রদ, শোলাভারাম হ্রদ ও চেম্বারামবাক্কাম হ্রদ চেন্নাইয়ের সুপেয় পানির জোগান দেয়। ভূগর্ভস্থ পানির উৎসগুলো অধিকাংশই লবণাক্ত। শহরটির পানি সরবরাহ ব্যবস্থা এর জনসংখ্যার তুলনায় অপ্রতুল। শহরটি পানির অভাব পূরণের জন্য বার্ষিক মৌসুমী বৃষ্টির ওপর অতি-নির্ভরশীল হওয়ায় পানি সমস্যা প্রকটতর রূপ ধারণ করেছে। ইদানিং বাইরের উৎস থেকে (যেমন তামিল নাড়ুর পানিসমৃদ্ধ ভিরানাম কিংবা অন্ধ্র প্রদেশের কৃষ্ণ নদী থেকে) পাইপে করে পানি আনার কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চেন্নাইয়ে পানি একটি মূল্যবান বস্তু এবং এর ফলে বিভিন্ন এলাকায় ব্যক্তিগত ট্যাংকারে করে পানি সরবরাহের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও বিপরীত অভিস্রবণ ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে। চেন্নাই মেট্রোওয়াটার সম্প্রতি দিনে ১০ কোটি লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন (প্রতি ব্যক্তির জন্য দৈনিক ১৫ লিটার) একটি বিপরীত অভিস্রবণ প্ল্যান্ট নির্মাণের নিলামপ্রক্রিয়া সমাপ্ত করেছে।
চেন্নাইয়ের ভূগঠন মূলত কাদামাটি, শেল ও বেলেপাথরের সমবায়ে গঠিত।[৮] ভূগঠন অনুযায়ী শহরটি তিনটি অঞ্চলে বিভক্ত: বালুময় এলাকা, কর্দমাক্ত এলাকা ও কঠিন শিলাময় এলাকা। নদীতীর ও উপকূলবর্তী এলাকা বালুময়। শহরের বেশির ভাগ এলাকাই কর্দমাক্ত মাটির ওপর অবস্থিত। গুইন্ডি, বেলাচেরি, আদামবাক্কাম অ সাইদাপে-এর একটি অংশ কঠিন শিলাময়।[৯] তিরুভনমিয়ুর, আদিয়ার, সান্থোমে, জর্জটাউন ও চেন্নাইয়ের বাকী উপকূলের বালুময় এলাকাতে বৃষ্টির পানির খুব সহজেই অনুস্রবণ ঘটে। কর্দমাক্ত ও কঠিন শিলাময় এলাকায় অনুস্রবণ ধীরে ঘটে, কিন্তু মাটি অনেকক্ষণ ধরে পানি ধরে রাখতে পারে। টি. নগর, পশ্চিম মাম্বালাম, আন্না নগর, কলাথুর ও বিরুগামবাক্কাম শহরের কর্দমাক্ত এলাকার অন্তর্গত।
[সম্পাদনা] জলবায়ু
চেন্নাই তাপীয়বৃত্তের ওপর অবস্থান করে, ফলে এখানে ঋতুভেদে তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন দেখা যায় না। সমুদ্র-নৈকট্যের দরুন এখানে বছরের বেশীরভাগ সময় উষ্ণ এবং আর্দ্র জলবায়ু বিরাজ করে। মে মাসের শেষ থেকে এবং জুন মাসের প্রথমাংশ পর্যন্ত সবচেয়ে গরম অনুভূত হয় ; এ সময় তাপমাত্রা সাধারণত ৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস (১০০.৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট) এবং ৪২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের (১০৭.৬ ডিগ্রী ফারেনহাইট) মধ্যে ঘোরাফেরা করে। তবে কখনও কখনও তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসও (১১৩ ডিগ্রী ফারেনহাইট) ছুঁয়ে যায়। জানুয়ারি মাসের গড় তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস (৭৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট), তবে কদাচিৎ তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে যায়। চেন্নাইয়ে রেকর্ডকৃত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৪.১ ডিগ্রী সেলসিয়াস।[১০]
এখানকার গড়পড়তা বার্ষিক বৃষ্টিপাত প্রায় ১৩০০ মিমি (৪৭.২ ইঞ্চি)। বেশির ভাগ ঋতু-ভিত্তিক বৃষ্টিপাত সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত উত্তরপূর্ব মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ঘটে থাকে। বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড় মাঝে মাঝে শহরটিতে আঘাত হানে।
চেন্নাই, ভারত-এর গড় আবহাওয়া | |||||||||||||
মাস | জানুয়ারি | ফেব্রুয়ারি | মার্চ | এপ্রিল | মে | জুন | জুলাই | আগস্ট | সেপ্টেম্বর | অক্টোবার | নভেম্বর | ডিসেম্বর | বৎসর |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
Avg high °C | ২৮ | ৩১ | ৩৩ | ৩৬ | ৩৮ | ৩৭ | ৩৫ | ৩৪ | ৩৪ | ৩২ | ২৯ | ২৮ | ৩২.৯ |
Avg low °C | ২০ | ২১ | ২৩ | ২৬ | ২৭ | ২৭ | ২৬ | ২৬ | ২৫ | ২৪ | ২২ | ২১ | ২৪ |
Avg high °F | ৮৩ | ৮৭ | ৯১ | ৯৬ | ১০০ | ৯৯ | ৯৫ | ৯৪ | ৯৩ | ৮৯ | ৮৫ | ৮৩ | ৯১.২ |
Avg low °F | ৬৮ | ৭০ | ৭৪ | ৭৯ | ৮১ | ৮১ | ৭৮ | ৭৮ | ৭৭ | ৭৫ | ৭২ | ৭০ | ৭৫.২৫ |
Precipitation (mm) | ২৭.৯ | ৩৩.০ | ৫.১ | ১২.৭ | ৩৮.১ | ৭১.১ | ১২১.৯ | ১৩৭.২ | ১৬০.০ | ২৯০.৫ | ২৩৯.২ | ১৫২.৪ | ১২৮৯.১ |
Precipitation (in) | ১.১ | ১.৩ | ০.২ | ০.৫ | ১.৫ | ২.৮ | ৪.৮ | ৫.৪ | ৬.৩ | ১১.৪ | ৯.৪ | ৬.০ | ৫০.৮ |
Source: [১১] ০১/০২/২০০৭ |
[সম্পাদনা] বিন্যাস
প্রশাসনিক কাজের জন্য চেন্নাই পাঁচটি তালুকে বিভক্ত:
- এগমোর-নুনগাম্বাকাম
- তোন্দিয়ারপেত দূর্গ
- মাম্বালাম-গুইন্ডি
- মাইলাপুর-ত্রিপ্লিকেন
- পেরাম্বুর-পুরাসাওয়াল্কাম
চেন্নাই মেট্রোপলিটান এলাকায় ৩ জেলা রয়েছেঃ চেন্নাই শহর, কাঁচিপুরম ও থিরুবল্লুর। শহর এলাকার ক্ষেত্রফল ১৭৪ কিমি² (৬৭ মাইল²)।[১২] মেট্রোপলিটান এলাকার ক্ষেত্রফল ১,১৭৭ কিমি² (৪৫৫ মাইল²)। শহরটি ভাগ করা আছে চার বৃহত্তর ভাগেঃ উত্তর, কেন্দ্র, পশ্চিম এবং দক্ষিণ।
[সম্পাদনা] অর্থব্যবস্থা
চেন্নাই এর অর্থব্যবস্থা বিবিধ শিল্পের ওপর নির্ভরশীল, যাদের মধ্যে মোটরগাড়ি, সফটওয়্যার সার্ভিস, হার্ডওয়্যার উৎপাদন এবং আর্থিক সার্ভিস শিল্প প্রধান। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শ্রমশিল্প হল পেট্রোকেমিক্যাল, বস্ত্রশিল্প এবং সাজপোশাক তৈরি। চেন্নাই বন্দরের অবস্থান এই শহরের গুরুত্ব বৃদ্ধি করেছে। এখানে সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার-নিয়ন্ত্রিত একটি স্টক এক্সচেঞ্জ রয়েছে যা মাদ্রাজ স্টক এক্সচেঞ্জ নামে পরিচিত।
১৯৯০ এর শেষের দিকে সফটওয়্যার উৎপাদন ও ব্যবসা প্রসেস আউটসোর্সিং (BPO) এবং আরও সাম্প্রতিককালে উৎপাদন শিল্প চেন্নাই শহরের অর্থব্যবস্থার মূলস্তম্ভে পরিণত হয়েছে।[১৩] শহরের দক্ষিণপূর্বে পুরনো মহাবলীপুরম রোডের তথ্য প্রযুক্তি করিডরে বহু প্রযুক্তি পার্ক গড়ে উঠেছে। মহিন্দ্র ওয়ার্ল্ড সিটি একটি স্পেশাল একনমিক জোন (SEZ) ও বিশ্বের সবছেয়ে বড় তথ্য প্রযুক্তি পার্ক এখন চেন্নাই শহরের বাইরে নির্মাণ হচ্ছে।[১৪]
চেন্নাইতে, বিশেষ করে শহরটির আমবাত্তুর-পড়ি শিল্পাঞ্চলে, ভারতের মোটরগাড়ি কোম্পানিগুলির একটি বড় অংশের ভিত্তি রয়েছে। শহরটি মোটরগাড়ির যন্ত্রাংশ শিল্পের একটি প্রধান কেন্দ্র। অবধির ভারী গাড়ি তৈরির কারখানা সামরিক যানবাহন তৈরি করে। ভারতের প্রধান যুদ্ধট্যাংক অর্জুন এখানে নির্মিত হয়। ভারতীয় রেলের রেলগাড়ির কামরা এবং রেলগাড়ির ইঞ্জিন (ইন্টেগ্রাল কোচ ফ্যাক্টোরি)[১৫] নির্মাণ কারখানাও এখানে রয়েছে। চেন্নাই ভারতীয় ব্যাংকিং এবং রাজস্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।
চেন্নাই তামিল ভাষার বিনোদন শিল্পের (চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, এবং রেকর্ডকৃত সঙ্গীত) প্রধান কেন্দ্র এবং ভারতীয় বিনোদন শিল্পের দ্বিতীয় বৃহত্তম কেন্দ্র।
[সম্পাদনা] প্রশাসন
চেন্নাই শহরের প্রশাসনব্যবস্থা দেখাশোনা করে চেন্নাই কর্পোরেশন, যেটি একজন মেয়র এবং ১৫৫ জন পারিষদ নিয়ে গঠিত। পারিষদেরা ১৫৫ টি ওয়ার্ডের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং শহরের বাসিন্দাদের দ্বারা সরাসরি নির্বাচিত হন। এদের মধ্যে একজন সহকারী মেয়র হিসেবে অন্যান্য পারিষদের দ্বারা নির্বাচিত হন। মেয়র এবং সহকারী মেয়র প্রায় ১০টি স্থায়ী কমিটির সভাপতিত্ব করেন। কর্পোরেশন মহানগরের সমস্ত নাগরিক পরিষেবা প্রদানে দায়বদ্ধ।
[সম্পাদনা] সংস্কৃতি
চেন্নাইয়ের সংস্কৃতিতে শহরটিতে বসবাসকারী বিবিধ জনগোষ্ঠীর প্রতিফলন ঘটেছে। শাস্ত্রীয় নৃত্যের জন্য এ শহর বিখ্যাত। প্রতি বছর ডিসেম্বরে চেন্নাইয়ে একটি পাঁচ সপ্তাহব্যাপী সঙ্গীতসমারোহ চলে; অনুষ্ঠানটি পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম সাংস্কৃতিক ঘটনা হিসেবে বিদিত।[১৬] এই সময় শহরে এবং এর ধারেকাছে শতশত শিল্পী ঐতিহ্যবাহী কর্ণাটকী সঙ্গীতানুষ্ঠানও প্রদর্শন করে। চেন্নাই শাস্ত্রীয় ভারতীয় নৃত্য ভরতনট্যমের জন্যও বিখ্যাত; এটি তামিল নাড়ুর সরকারী নৃত্য। ভরতনট্যমের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হল "কলাক্ষেত্র", যা শহরের দক্ষিণে সমুদ্র-সৈকতে অবস্থিত। এছাড়া চেন্নাইয়ে তামিল থিয়েটারও জনপ্রিয়।
চেন্নাইয়ে একাধিক উৎসব উদযাপিত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হচ্ছে পোঙ্গল, যা জানুয়ারী মাসে পাঁচ দিন ধরে উদযাপিত হয়। এছাড়া তামিল বর্ষপঞ্জির নববর্ষ ব্যাপকভাবে উদযাপন করা হয়। একটি কসমোপলিটান শহর হওয়ায় ভারতের প্রায় সমস্ত প্রধান ধর্মীয় উৎসব, যেমন দীপাবলি, ঈদ এবং ক্রিসমাসও এখানে উদযাপিত হয়।
[সম্পাদনা] জনগোষ্ঠী
চেন্নাইয়ের অধিবাসিকে বলা হয় চেন্নাই-আইট্স্। ২০০১ সালে, চেন্নাই শহরের জনসংখ্যা ৪.২ মিলিয়ন ছিল, যখন মোট মেট্রোপলিটান জনসংখ্যা ৬.৪ মিলিয়ন ছিল। মেট্রোপলিটান জনসংখ্যা ২০০৬-এ ৭.০ মিলিয়ন ছিল।
শহরের জনসংখ্যা ঘনত্ব হচ্ছে ২৪৪১৮ প্রত কিমি² যখন মেট্রোপলিটান এলাকার জনসংখ্যা ঘনত্ব ৫৮৪৭ প্রতি কিমি²। Sex ratioটি প্রতি ১০০০ পুরুষের জন্য ৯৪৮ মহিলা , জাতীয় গড় ৯৩৪-এর থেকে একটু বেশি।[১৭] গড় সাক্ষারতা দর (average literacy rate) হচ্ছে ৮০.১৪%,[১৮] জাতীয় গড়ের (৫৯.৫%) (average) থেকে অনেক আরও বেশি। শহরের জনসংখ্যার ১৮% বস্তি অবস্থায় থাকে।[১৯]
চেন্নাইয়ের বাসিন্দাদের একটি সংখ্যাগুরু অংশ হল স্থানীয় তামিল জনগোষ্ঠী এবং যারা তামিল ভাষায় কথা বলে। ইংরেজী ভাষাও ব্যাপক ভাবে বলা হয় এবং ব্যবসা, শিক্ষা এবং অন্যান্য সাদা কলার পেশাতে প্রায় এটি একচেটিয়াভাবে ব্যবহার করা হয়। চেন্নাইয়ের কথ্য তামিল ভাষায় ইংরেজী শব্দ উদারভাবে ব্যবহার করা হয়। শহরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় তেলেগু এবং মালায়লী সম্প্রদায় রয়েছে। ব্রিটিশ সময় থেকেই একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হওয়ায় অন্যান্য বিশিষ্ট সম্প্রদায় যেমন মাড়ওয়াড়ী, অ্যাংলো ইন্ডিয়ান, বাঙালি, পাঞ্জাবী, গুজরাতী সম্প্রদায় এবং উত্তর প্রদেশ ও বিহার থেকে আসা জনগণও এখানে রয়েছে।
অত্যাধিক জনসংখ্যা এবং ফলস্বরূপ উদ্ভূত জলের অভাব হচ্ছে চেন্নাইয়ের প্রধান সমস্যা। এখানে বসবাসের জন্য গগনচুম্বী অট্টালিকা পছন্দ না করার ফলে এটি ক্রমশ একটি বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা শহরাঞ্চলে পরিণত হচ্ছে। ফলস্বরুপ যাতায়াত সময় এবং ব্যক্তিগত মালিকানাধীন গাড়ির সংখ্যা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
[সম্পাদনা] যোগাযোগ ব্যবস্থা
[সম্পাদনা] সড়ক যোগাযোগ
চেন্নাই "দক্ষিণ ভারতের প্রবেশদ্বার" নামে বহুল পরিচিত। শহরটি ভারতের অন্যান্য অংশ এবং আন্তর্জাতিকভাবে সুসংযুক্ত। ভারতের পাঁচটি প্রধান ভারতের জাতীয় মহাসড়ক কলকাতা, বাঙ্গালোর, ত্রিচী, তিরুভাল্লুর এবং পন্ডিচেরির সঙ্গে এই শহরকে সংযুক্ত করেছে।[২০] চেন্নাই মফস্বল বাস টার্মিনাস (CMBT) চেন্নাইয়ের সঙ্গে সংযোগকারী আন্তঃশহর বাসের জন্য টার্মিনাস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম বাস টার্মিনাস। সাতটি সরকারি পরিবহন সংস্থা আন্তঃশহর এবং আন্তঃরাজ্য বাস সেবা পরিচালনা করে। এছাড়া অনেক ব্যক্তিগত বাস কোম্পানিও চেন্নাই থেকে আন্তঃশহর এবং আন্তঃরাজ্য সেবা পরিচালনা করে।
মেট্রোপলিটান ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (এমটিসি) শহরে একটি বিস্তীর্ণ বাস ব্যবস্থা পরিচালনা করে। ২৭৭৩ বাস রয়েছে ৩৭৫ রুটে[২১], ও এটি আনুমানিক প্রতিদিন প্রায় ৪২ লক্ষ যাত্রী পরিবহণ করে। এমটিসি সার্ভিস ছাড়াও, চেন্নাই মেট্রোপলিটান এলাকার শহরতলিতে মিনি বাস সার্ভিস বর্তমান। জনপ্রিয়ভাবে "ম্যাক্সি ক্যাব" নামে পরিচিত ছোট বাসও শহরের অনেক পথে নিয়মিতভাবে চলাচল করে। ভাড়াটে পরিবহণ সুবিধার মধ্যে রয়েছ মিটার ট্যাক্সি, পূর্বনির্ধারিত হারের পর্যটক ট্যাক্সি এবং অটোরিক্সা।
[সম্পাদনা] বিমান যোগাযোগ
এ শহরের চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক উভয় ধরনের আকাশভ্রমণের জন্য বিমানবন্দর হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার প্রধান কেন্দ্রগুলির সঙ্গে প্রায় ত্রিশটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমানসংস্থার ফ্লাইটের মাধ্যমে সরাসরি সংযুক্ত। এই বিমানবন্দরটি ভারতের দ্বিতীয় ব্যস্ততম মালবাহী টার্মিনাস।
[সম্পাদনা] নৌযোগাযোগ
চেন্নাই শহরে দুটি প্রধান নৌ-বন্দর রয়েছে। একটির নাম চেন্নাই বন্দর, যা পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম কৃত্রিম বন্দর, এবং অন্যটি এন্নোর বন্দর। চেন্নাই বন্দর ভারতের দ্বিতীয় ব্যস্ততম কনটেইনার কেন্দ্র এবং এটি মূলত সাধারণ শ্রমশিল্পসংক্রান্ত মালপত্র, মোটরগাড়ি ইত্যাদির আগমন-নির্গমন পরিচালনা করে। এন্নোর বন্দর মূলত কয়লা, আকরিক এবং অন্যান্য দ্রব্যের আগমন-নির্গমন পরিচালনা করে।
[সম্পাদনা] রেলযোগাযোগ
শহরটিতে দুটি প্রধান রেল টার্মিনাল রয়েছে। শহরের বৃহত্তম রেল স্টেশন চেন্নাই সেন্ট্রাল স্টেশন ভারতের সমস্ত প্রধান নগরী এবং শহরের সঙ্গে এবং অপর রেল স্টেশন চেন্নাই এগমোর তামিল নাড়ুর অন্তর্বর্তী গন্তব্যের জন্য ট্রেন সংযোগ রক্ষা করে।[২২] মূলত বাস এবং ট্রেন হল শহরের জনপ্রিয় পরিবহন মাধ্যম। চেন্নাই শহরতলির রেল নেটওয়ার্ক চারটি রেল সেক্টর নিয়ে গঠিত এবং এটি একটি ব্রডগেজ রেল নেটওয়ার্ক।
[সম্পাদনা] গণমাধ্যম
এই শহরে দুটি এএম এবং চারটি বাণিজ্যিক এফএম রেডিও স্টেশন রয়েছে, যেগুলি অল ইন্ডিয়া রেডিও এবং ব্যক্তিগত সম্প্রচারকারী দ্বারা পরিচালিত হয়। চেন্নাইয়ে ছটি প্রধান প্রকাশনা গোষ্ঠী রয়েছে যারা প্রায় আটটি প্রধান সংবাদপত্র এবং সাময়িক পত্রিকা প্রকাশ করে। প্রধান ইংরেজী দৈনিক সংবাদপত্র হল দ্য হিন্দু, দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, দ্য ডেকান ক্রনিকল্ এবং একটি সান্ধ্য দৈনিক দ্য নিউজ টুডে। শহর থেকে প্রকাশিত প্রধান ব্যবসায়িক দৈনিক হল দ্য ইকোনমিক টাইমস, বিজনেস লাইন, বিজনেস স্ট্যানডার্ড, এবং দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস। প্রধান তামিল দৈনিক সংবাদপত্র হল দিনতন্থি, দিনকরণ, দিনমণি, দিনমালার, তামিল মুরাসু এবং মালাইমালার। প্রধান সংবাদপত্র ছাড়াও রয়েছে, স্থানীয় সংবাদপত্র যেমন আড্যিয়ার টাইমস। চেন্নাই থেকে প্রকাশিত সাময়িক পত্রিকার মধ্যে রয়েছে আনন্দ বিকেতন, কুমুদম, কল্কি, কুঙ্গুমম, ফ্রন্টলাইন এবং স্পোর্ট্সস্টার।
ভারতের একটি প্রধান বাণিজ্যিক এবং ব্যবসা কেন্দ্র হওয়ায়, চেন্নাইয়ে একটি উন্নত যোগাযোগ এবং গণমাধ্যম পরিকাঠামো বর্তমান। শহরটি একটি বড় অপটিকাল ফাইবার কেবল নেটওয়ার্ক দিয়ে সংযুক্ত। শহরটি ভারত এবং দক্ষিণপূর্ব এশীয় জলনিমগ্ন অপটিকাল ফাইবার নেটওয়ার্ক সংযোগের একটি মূখ্য বিন্দু হওয়ায় এটি দেশের সর্বোচ্চ ইন্টারনেট ব্যান্ডউইড্থ পরিষেবা উপভোগ করে। শহরে চারটি ল্যান্ডলাইন টেলিফোন কোম্পানি টেলিফোন পরিষেবা প্রদান করে যারা হল বিএসএনএল, টাটা ইন্ডিকম, রিলায়েন্স ইনফোকম এবং এয়ারটেল। এছাড়া রয়েছে ছটি মোবাইল ফোন কোম্পানি: বিএসএনএল, হাচ, এয়ারটেল, এয়ারসেল, টাটা ইন্ডিকম এবং রিলায়েন্স ইনফোকম। ফোন কোম্পানিগুলি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবাও প্রদান করে। দুরদর্শনের চেন্নাই কেন্দ্র দুটি ভূপৃষ্ঠস্থ টেলিভিশন চ্যানেল এবং দুটি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচার করে। সান টিভি, রাজ টিভি, জয়া টিভি, স্টার বিজয়ের মত ব্যক্তিগত তামিল টেলিভিশন নেটওয়ার্কও চেন্নাইয়ে সম্প্রচার করে। এসসিভি এবং হাথওয়ে হল প্রধান কেবল টিভি পরিষেবা প্রদানকারী। সরাসরিভাবে বাড়িতে (ডিটিএইচ) পরিষেবা পাওয়া যায় ডিডি ডিরেক্ট প্লাস এবং ডিশ টিভি থেকে। চেন্নাই ভারতে একমাত্র শহর যেখানে টেলিভিশনের জন্য শর্তাধীন উপভোগ সিস্টেম (CAS) বাস্তবায়িত হয়েছে।
[সম্পাদনা] আরও দেখুন
|
---|
|
---|
আগরতলা • আইজল • বেঙ্গালুরু • ভোপাল • ভুবনেশ্বর • চন্ডীগড় • চেন্নাই (মাদ্রাজ) • দমন • দেরাদুন • দিল্লী • দিসপুর • গান্ধীনগর • গ্যাংটক • হায়দ্রাবাদ • ইম্ফল • ইটানগর • জয়পুর • কাভারত্তি • কোহিমা • কলকাতা • লখনৌ • মুম্বাই (বম্বে) • পানাজি (পানজিম) • পাটনা • পন্ডিচেরী • পোর্ট ব্লেয়ার • রায়পুর • রাঁচী • শিলং • সিমলা • সিলভাসা • শ্রীনগর • তিরুবনন্তপুরম (ত্রিভান্দ্রম) |
[সম্পাদনা] তথ্যসূত্র
- ↑ ওয়ার্ল্ড গ্যাজেটিয়ার: Chennai agglomeration
- ↑ Chennai has the 'potential' to become Detroit of South Asia. দ্য হিন্দু. Retrieved on আগস্ট ৬, ২০০৫.
- ↑ এটিপি টেনিস.কম থেকে টুর্নামেন্ট প্রোফাইল
- ↑ ইএসপিএন-এর অনুষ্ঠান
- ↑ থারূর, সাশি]]. "India's name game", ইন্টারন্যাশনাল হেরাল্ড ট্রিবিউন. ২০০৫-০৮-০৯ তারিখে সংগৃহীত।.
- ↑ http://www.chennaicorporation.com/madras_history.htm
- ↑ http://www.timeanddate.com/worldclock/city.html?n=553
- ↑ প্র্যাক্টিসেস অ্যান্ড প্র্যাক্টিশনার্স – চেন্নাই. রেনওয়াটার হার্ভেস্টিং. Retrieved on আগস্ট ৫, ২০০৫.
- ↑ A ready reckoner on rainwater harvesting. তামিলনাড়ু সরকার / নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস. Retrieved on আগস্ট ৫, ২০০৬.
- ↑ Climate of India. ন্যাশনাল এনভাইরনমেন্ট এজেন্সি – সিঙ্গাপুর. Retrieved on আগস্ট ৪, ২০০৬.
- ↑ ওয়েদার.কম চেন্নাই. Retrieved on ০১/০২, ২০০৭.
- ↑ General statistics. কর্পোরেশন অফ চেন্নাই. Retrieved on আগস্ট ৪, ২০০৫.
- ↑ 'Chennai most attractive city for offshoring services'. দ্য হিন্দু'র দ্য বিজনেস লাইন.
- ↑ World's Largest IT Campus. ইনফোসিস, মহিন্দ্র ওয়ার্ল্ড সিটি. Retrieved on আগস্ট ৬, ২০০৫.
- ↑ Welcome to Official Website of ICF. Retrieved on নভেম্বর ১৯, ২০০৫.
- ↑ Music musings. দ্য হিন্দু. Retrieved on আগস্ট ৪, ২০০৫.
- ↑ India. সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক. Retrieved on আগস্ট ৪, ২০০৫.
- ↑ Districts performance on Literacy Rate in Tamil Nadu for the year 2001. ডিপার্টমেন্ট অফ স্কুল এডুকেশন. Retrieved on আগস্ট ৪, ২০০৫.
- ↑ http://www.censusindia.net/results/slum/Intro_slum.pdf
- ↑ GIS database for Chennai city roads and strategies for improvement. জিওস্পেস ওয়ার্ক পোর্টাল. Retrieved on আগস্ট ৪, ২০০৬.
- ↑ List of Routes. মেট্রোপলিটান ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন অফ চেন্নাই লিমিটেড. Retrieved on আগস্ট ৪, ২০০৬.
- ↑ Passenger Railway System. ভারতীয় রেল. Retrieved on ফেব্রুয়ারি ৩, ২০০৭.
[সম্পাদনা] উৎসসমূহ
- District profile – Chennai. তামিলনাড়ু সরকার. Retrieved on আগস্ট ৬, ২০০৫.
- IVRCL to set up desalination plant near Chennai. বিজনেস লাইন. Retrieved on আগস্ট ১১, ২০০৫.
- Eelam Army chief held for Chennai blast. ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস. Retrieved on আগস্ট ৯, ২০০৫.
- Executive chart. কর্পোরেশন অফ চেন্নাই. Retrieved on আগস্ট ৪, ২০০৫.
- BMW zeroes in on Chennai. দ্য একনমিক টাইম্স্. Retrieved on আগস্ট ৯, ২০০৫.
- BMW plan on track: road clear for one, sharp bend for others. দ্য টেলেগ্রাফ, ভারত. Retrieved on আগস্ট ১৩, ২০০৫.
- Tamil Nadu slum population. তামিলনাড়ু সরকার. Retrieved on আগস্ট ৪, ২০০৫.
- A mix of the old and the new economy (.pdf). তামিলনাড়ু সরকার. Retrieved on আগস্ট ৪, ২০০৫.
- এস. মুথিয়াহ, সি.এল.ডি. গুপ্ত (২০০১). Madras That Is Chennai: Queen Of The Coromandel. বিজনেস পাব্লিকেশন্স্ ইঙ্ক্. ISBN 81-86982-97-3.
- রিচার্ড প্লাঙ্কেট, টেরিসা ক্যানন, পিটার ডেভিস, পল গ্রিনওয়ে, পল হার্ডিং (২০০১). Lonely Planet South India. লোনলি প্ল্যানেট পাব্লিকেশন্স্ লিঃ. ISBN 1-86450-161-8.
- Madras in Words. শ্রীকুমার বর্মা.
[সম্পাদনা] বহির্সংযোগসমূহ
সংজ্ঞা, উইকি-অভিধান হতে
পাঠ্যবই, উইকিবই হতে
উক্তি, উইকিউক্তি হতে
রচনা সংকলন, উইকিউৎস হতে
ছবি ও অন্যান্য মিডিয়া, কমন্স হতে
সংবাদ, উইকিসংবাদ হতে
- চেন্নাই শহরের সরকারি ওয়েবসাইট
- কর্পোরেশন অফ চেন্নাই-এর সরকারি ওয়েবসাইট
- চেন্নাইয়ের ব্যাপারে
- উইকিভ্রমণ থেকে চেন্নাই ভ্রমণ গাইড
- চেন্নাই শহর
- চেন্নাইয়ের ইতিহাস
- এস. মুথিয়াহ-এর চেন্নাইয়ের ব্যাপারে নিবন্ধ, দ্য হিন্দু-তে প্রকাশ করা
- চেন্নাইয়ের ভূগোলবিদ্যা ও অন্যান্য তথ্য
- চেন্নাইয়ের আবহাওয়া
- চেন্নাইয়ের সংবাদ