বাংলাদেশে সামরিক অভ্যুত্থান
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ বেশ কয়েকবার সামরিক অভ্যুত্থান সম্মুখীন হয়েছে।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা] ১৯৭৫ সালের সামরিক অভ্যুত্থান সমূহ
[সম্পাদনা] ১৫ই আগষ্ট
বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর কিছু জুনিয়র অফিসার ১৯৭৫-এর ১৫ই আগষ্টের অভ্যুত্থান পরিচালনা করে। তাদের নেতৃত্বে ছিল মেজর সৈয়দ ফারুক রহমান এবং মেজর রশিদ। এই অভ্যুত্থানের ফলে মৃত্যু বরন করেন দেশটির রাষ্ট্রপতি ও স্থপতি শেখ মুজিবর রহমান, তার পুরো পরিবার (দুই মেয়ে শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা জার্মানীতে অবস্থানের কারনে বেঁচে যান) এবং কয়েকজন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতা। তবে এই অভ্যুত্থানের সাথে সেনাবাহিনীর শীষস্থানীয় কোনো কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন না এবং সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্তকৃত কিছু কর্মকর্তাও এর সাথে যুক্ত ছিলেন।
[সম্পাদনা] ৩রা নভেম্বর
মেজর ফারুক. মেজর রশিদ এবং খন্দকার মোশতাক আহমেদ-এর গড়া সরকার আরও একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ৩রা নভেম্বর, ১৯৭৫-এ ক্ষমতাচ্যুত হয়। এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন জেনারেল খালেদ মোশাররফ, বীর উত্তম, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
[সম্পাদনা] ৭ই নভেম্বর
জেনারেল মোশাররফের ৩ দিন দীর্ঘ অভ্যুত্থান শেষ হয় আরেকটি পালটা অভ্যুত্থান মধ্য দিয়ে, যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন প্রধানত বামপন্থী, জাসদ নেতা, সাবেক আর্মি কর্ণেল আবু তাহের। যদিও রহস্যজনক ভাবে ঘটনার মোড় ঘুরে যায়, যার কারনে জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় উঠে আসেন এবং কিছুকাল পরে তাহেরের ফাঁসি হয়ে যায়।
[সম্পাদনা] ১৯৭৭-১৯৮০ সালের সামরিক অভ্যুত্থান সমূহ
জেনারেল জিয়াউর রহমান তার পাচ বছরের শাসনামলে প্রায় ২১টি অভ্যুত্থানের মুখোমুখি হয়েছিলেন। ২১টি অভ্যুত্থান থেকে বেঁচে গেলেও ২২তম অভ্যুত্থানে তিনি মৃত্যুবরন করেন। এর অধিকাংশই ছিল ১৯৭১ সালের সেই সকল মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের সমন্বয়ে গঠিত, যারা জিয়ার ইসলামিক ভাবাপন্ন দলের সাথে সম্পর্ক সহ্য করতে পারেননি। তিনি এসব আন্দোলন দৃঢ়ভাবে দমন করেন।
[সম্পাদনা] ১৯৮১ সালের সামরিক অভ্যুত্থান
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে ৩০শে এপ্রিল, ১৯৮১-তে এই ক্যু সংঘঠিত হয় দেশের দক্ষিনের বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। একদল অসন্তুষ্ট আর্মি অফিসার দ্বারা সংঘটিত এই ক্যুয়ের নেতৃত্ব দেন জেনারেল মঞ্জুর, যিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা।
[সম্পাদনা] ১৯৮২ সালের সামরিক অভ্যুত্থান
জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ একটি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ২৫শে মার্চ, ১৯৮২-তে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারকে পদচ্যুত করেন এবং নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে ঘোষনা দেন।
[সম্পাদনা] পরবর্তী অভ্যুত্থান চেষ্টা সমূহ
পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে তত্কালীন সেনাপ্রধান এ. এস. এম. নাসিম এক অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেন। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়।
[সম্পাদনা] আরও দেখুন
[সম্পাদনা] বাইরের উত্স
[সম্পাদনা] References
- Mascarenhas, Anthony. Bangladesh: A Legacy of Blood. London: Hodder and Stoughton, 1986.