জিম্বাবুয়ের অর্থনীতি
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
১৯৮০ সালে জিম্বাবুয়েতে শ্বেতাঙ্গ-শাসনের অবসান ঘটে ও দেশটির স্বাধীনতা আন্দোলনের নায়ক রবার্ট মুগাবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। তখন থেকে আজ পর্যন্ত মুগাবে ও তার দলই জিম্বাবুয়ে শাসন করে আসছেন, তবে বর্তমানে ক্ষমতালোভী মুগাবে দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলেই বেশি আগ্রহী। বাকস্বাধীনতা, বিচার ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন করার মধ্য দিয়ে এর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
২০০০ সালের মার্চ থেকে মুগাবের সমর্থকেরা শ্বেতাঙ্গ জমিদারদের জমি জবরদখল করা শুরু করে। এর ফলে দেশটির অর্থনীতিতে ধ্বস নামে, মুদ্রাস্ফীতি চরমে পৌঁছে (বর্তমানে এর হার ১১,০০০%, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ) এবং তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দেয়। জাতিসংঘ দেশটির উপর স্মার্ট স্যাংশন বা চতুর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও ফল হয়নি। ২০০৫ সালে নির্বাচনে মুগাবে আবার ক্ষমতায় আসেন, যদিও ধারণা করা হয় তিনি এতে ব্যাপক কারচুপির আশ্রয় নেন। বর্তমানে দেশটিতে বেকারত্ব ও দরিদ্রতার হার উভয়ই প্রায় ৮০%। অর্থনীতির এই করুণ দশায় জিম্বাবুয়ের অনেক নাগরিক দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন।