অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় |
|
---|---|
Latin: Universitas Oxoniensis উনিভের্সিতাস অক্সনিয়েন্সিস (আর্ম্স্)
|
|
নীতি বাক্য | দোমিনুস ইলুমিনাতিও মেয়া "The Lord is my Light" (সাম ২৭) |
প্রতিষ্ঠা | অনিনশ্চিত, ১১ শতাব্দী |
ধরণ | জনসাধারণ |
অনুদান | £৩.৬ শতকোটি (কলেজগুলো আন্তর্গত) [১] |
আচার্য | দ্য রাইট মাননীয় লোর্ড প্যাটেন অফ বার্ন্স |
উপাচার্য | ডাঃ জন হুড |
ছাত্র | ২২৬৪০ [২] |
স্নাতক | ১৫৪৮৬ [২] |
স্নাতকোত্তর | ৭১৪৫ [২] |
অবস্থান | অক্সফোর্ড, যুক্তরাজ্য |
রঙ | অক্সফোর্ড (গাঢ়) নীল |
সংযুক্তি | আইএআরইউ, রাসেল গ্রুপ, কয়মব্রা গ্রুপ, ইউরোপেউম, ইইউএ, এলইআরইউ, 'গোল্ডেন ট্রায়্যাঙ্গেল' |
ওয়েবসাইট | www.ox.ac.uk |
ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড শহরে অবস্থিত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজী ভাষাভাষী জগতের সবচেয়ে পুরাতন বিশ্ববিদ্যালয়।[৩] ধারণা করা হয় ১১শ শতাব্দীর শেষ দিকে অথবা ১২শ শতাব্দীর প্রথমে এই বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্যতম।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা] ইতিহাস
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সঠিক তারিখ জানা না গেলেও অনুমান করা হয় ১১ শতাব্দীর প্রথম থেকেই অক্সফোর্ডে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব ছিল। তবে ১১৬৭ সালে রাজা ২য় হেনরি ইংরেজ ছাত্রদের প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করলে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে। প্রথম দিকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মতত্ব, আইন, চিকিৎসাবিজ্ঞান ও দর্শন বিভাগ ছিল। প্রথমদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজের কোন ভবন ছিলনা, ভাড়া করা হল অথবা চার্চে ক্লাস নেওয়া হত। ১৩৫৫ সালে রাজার এক আদেশবলে বিশ্ববিদ্যালয়কে অক্সফোর্ড শহরে স্থান দেওয়া হয়। ইংল্যন্ডের গৃহযুদ্ধের সময় বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে কিন্তু পরবর্তীতে রাজার ২য় পুত্রের সাথে সংঘাতে জড়িয়ে যায়। ১৯শ শতাব্দীতে বিশ্ববিদ্যালযটির কলেবর বৃদ্ধি করা হয়। ১৮৮৭ সালে প্রথম মহিলা কলেজ লেডি মার্গারেট হল প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০ শতকে বিশ্ববিদ্যালয়টির আরও সংষ্কার করা হয়। বিজ্ঞানের গুরুত্ত্ব বৃদ্ধি করা হয় ও নতুন বিভাগ খোলা হয়।
[সম্পাদনা] গঠনতন্ত্র
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ৩৯টি কলেজ এবং ৭ টি Permanent Private Halls (PPHs) এর সমন্বয়ে গঠিত। এদের প্রতিটি সতন্ত্র ভাবে পরিচালিত হয়। সকল ছাত্রকে এদের যেকোন একটির সাথে যুক্ত থাকতে হয়। আবাসিক সুবিধা ছাড়াও কলেজগুলোতে ছাত্রদের ক্লাস নেয়া হয়। তবে পরীক্ষা, গবেষণাগার এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ পরিচালনা করে। প্রতিটি কলেজে সাধারনত একটি ডাইনিং হল, প্রার্থনা কেন্দ্র, লাইব্রেরি, তিনটি কমন রুম এবং ২০০-৪০০ ছাত্রের থাকার স্থান থাকে। কলেজগুলোর ভর্তি প্রক্রিয়া আলাদা হলেও একটি গ্রহনযোগ্য মান ধরে রাখা হয়। কলেজ গুলো হলো:
- All Souls College (১৪৩৮)
- Balliol College (১২৬৩)
- Brasenose College (১৫০৯)
- Christ Church (১৫৪৬)
- Corpus Christi College (১৫১৭)
- Exeter College (১৩১৪)
- Green College (১৯৭৯)
- Harris Manchester College (১৮৮৯)
- Hertford College (১২৮২)
- Jesus College (১৫৭১)
- Keble College (১৮৭০)
- Kellogg College (১৯৯০)
- Lady Margaret Hall (১৮৭৮)
- Linacre College (১৯৬২)
- Lincoln College (১৪২৭)
- Magdalen College (১৪৫৮)
- Mansfield College (১৮৮৬)
- Merton College (১২৬৪)
- New College (১৩৭৯)
- Nuffield College (১৯৫৮)
- Oriel College (১৩২৬)
- Pembroke College (১৬২৪)
- The Queen's College (১৩৪১)
- St Anne's College (১৮৭৮)
- St Antony's College (১৯৫৩)
- St Catherine's College (১৯৬৩)
- St Cross College (১৯৬৫)
- St Edmund Hall (১৯৫৭)
- St Hilda's College (১৮৯৩)
- St Hugh's College (১৮৮৬)
- St John's College (১৫৫৫)
- St Peter's College (১৯২৯)
- Somerville College (১৮৭৯)
- Templeton College (১৯৯৫)
- Trinity College (১৫৫৪)
- University College (১২৪৯)
- Wadham College (১৬১০)
- Wolfson College (১৯৬৬)
- Worcester College (১৭১৪)
১৪৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অংশ। এটি পৃথিবীর অন্যতম নামকরা প্রকাশনা সংস্থা।
[সম্পাদনা] বিখ্যাত শিক্ষার্থী
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইদের অক্সনিয়ান (Oxonian) বলা হয়।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব শিক্ষা লাভ করেছেন। এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৪ জন ইংরেজ রাজা, ৮ জন বিদেশী রাজা, ৪৭ জন নোবেল বিজয়ী, ২৫ জন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, ২৮ জন বিদেশী প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী, ৭ জন সেইন্ট বা সাধু, ১৮ জন কার্ডিনাল ও এক জন পোপ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। এদের মধ্যে রয়েছেন জন ওয়েসলি, অস্কার ওয়াইল্ড, সেসিল রোডস, এডমন্ড হ্যালি, স্টিফেন হকিং, টিম বারনাস লি, হিউ গ্রান্ট, রুপার্ট মারডক, মার্গারেট থ্যাচার প্রমুখ।
[সম্পাদনা] তথ্যসূত্র
- ↑ Billion-pound boost for British universities. অব্জার্ভার নিবন্ধ. Retrieved on ২০০৭-০২-১১.
- ↑ ২.০ ২.১ ২.২ Table 0a - All students by institution, mode of study, level of study, gender and domicile 2004/05. হায়ার এডুকেশন স্ট্যাটিস্টিক্স্ এজেন্সি আন্তর্জাল প্রমানিত তথ্যাবলী. Retrieved on ২০০৬-১১-১৮.
- ↑ About Oxford University. অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়. Retrieved on ২০০৬-০৭-০২.
- ইংরেজি উইকিপিডিয়া
- Encyclopaedia Britannica