মার্কো ফন বাস্তেন
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মার্কো ফন বাস্তেন | ||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||
---|---|---|
জন্মতারিখ | ৩১ অক্টোবর, ১৯৬৪ | |
জন্মস্থান | ঊত্রেকট, নেদারল্যান্ড | |
ডাকনাম | দ্য ড | |
অবস্থান | ফরোয়ার্ড | |
পেশাদারী ক্লাব* | ||
বছর | ক্লাব | উপস্থিতি (গোল) |
১৯৮২-১৯৮৭ ১৯৮৭-১৯৯৩ |
আয়াক্স এসি মিলান |
১৩৩(১২৮) ১৪৭(৯০) |
জাতীয় দল | ||
১৯৮৩-১৯৯২ | নেদারল্যান্ড জাতীয় দল | ৫৮ (২৪) |
* পেশাদারী ক্লাবের উপস্থিতি ও গোলসংখ্যা |
মার্সেল "মার্কো" ফন বাস্তেন (জন্ম অক্টোবর ৩১ ,১৯৬৪ উত্রেকত, নেদারল্যান্ড) ডাচ দলের সাবেক এই কুশলী স্ট্রাইকার , বর্তমানে ডাচ জাতীয় দলের কোচের ভূমিকা পালন করছেন । প্রতিভাবান এই স্ট্রাইকার তাঁর ক্যারিয়ারে ২৭৬ টি গোল করেন । ইনজুরির কারণে তাঁর ক্যারিয়ার সংক্ষিপ্ত হয়ে যায় ।১৯৮৮,'৮৯ এবং '৯২ সালে তিনি তিনবার ইউরোপিয়ান ফুটবলার অফ দ্যা ইয়ার মনোনীত হন । ১৯৯২ সালে ওয়ার্ল্ড ফুটবলার অব দ্যা ইয়ার নির্বাচিত হন । ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনের জরিপে শতাব্দীর সেরা ফুটবলারের তালিকায় তার অবস্থান ৮ম ।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা] খেলোয়াড়ি জীবন
আয়াক্সের পক্ষে ফন বাস্তেনের অভিষেক হয় ১৯৮২ সালে । ৫-০ গোলে জয়ী হওয়া সে ম্যাচে জোহান ক্রুয়েফের বদলী হিসেবে খেলতে নেমে তিনি গোলও করেন । ডাচ ফুটবলে তাঁর চাইতে বেশি খ্যাতিমান কেবল এই জোহান ক্রুয়েফ ।
১৯৮২-৮৩ মৌসুমে সতীর্থ উইম কিয়েফট ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন , ফলে তিনি বেশি সুযোগ পাননি ।পরের বছর আয়াক্স কিয়েফট কে সেরি এ দল পিসার কাছে বেঁচে দিলে তিনি সুযোগ পেতে শুরু করেন ।
পরবর্তী ৪ মৌসুম তিনি সর্বোচ্চ গোলদাতা হন (১৯৮৪,১৯৮৫,১৯৮৬,১৯৮৭) । ১১২ ম্যাচে ১১৭ গোল করেন । ১৯৮৭ সালে সিলভিও বার্লোসকোনি তাকে মিলানে নিয়ে আসেন । সে মৌসুমে মিলান শিরোপো জিতলেও ইনজুরির কারণে তিনি মাত্র ১১ টি ম্যাচ খেলতে সক্ষম হন ।পরের বছর রুদ খুলিত এবং ফ্রাঙ্ক রাইকার্ড ও মিলান দলে যোগ দেন
১৯৮৮ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপে তিনি ৫ টি গোল করেন । ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে করেন হ্যাটট্রিক , সেমি ফাইনালে পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে ১টি এবং ফাইনালে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপক্ষে অসাধারণ ভলির মাধ্যমে ১টি গোল করেন ।১৯৮৮-৮৯ মৌসুমে এসি মিলানের হয়ে সেরি এ তে ১৯ টি গোল করেন । পরের মৌসুমে সেরি এ তে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন । মিলান সফলভাবে বেনফিকার বিরুদ্ধে তাদের ইউরোপীয় শিরোপো রক্ষা করে ।১৯৯০ বিশ্বকাপে হল্যান্ড দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নেয়।
১৯৯০-৯১ মৌসুমে কোচ আরিগো সাচ্চির সাথে বিরোধের কারণে বেশি খেলার সুযোগ পাননি , সাম্পাদোরিয়া সে বছর স্কুডেট্টো জেতে। সাচ্চি বরখাস্ত হলে পরের মৌসুমে তিনি ২৫ গোল করে আবার সেরি এ তে সর্বোচ্চ স্কোরার হন । অপরাজিত থেকে এসি মিলান চ্যাম্পিয়ন হয় ।
১৯৯২ এর ইউরো তে হল্যান্ড সেমি ফাইনালে ডেনমার্কের কাছে পেনাল্টিতে হেরে যায় । এ ম্যাচে পিটার স্মাইকেল তাঁর নেয়া পেনাল্টিটি ঠেকিয়ে দেন ।
১৯৯২-৯৩ মৌসুমে এসি মিলানের অপরাজিত থাকার ধারা অব্যাহত থাকে । বাস্তেন অসাধারণ ফর্মে ছিলেন । কিন্তু আনকোনার বিপক্ষে ম্যাচে ইনজুরিতে পড়েন । আবার ফিরে এসে এসি মিলানের হয়ে মার্সেই এর বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনালে অংশ নেন । এসি মিলান ফাইনাল ম্যাচটি হেরে যায় । এটিই ছিল তাঁর শেষ পেশাদার ম্যাচ । ইনজুরির কাছে নতিস্বীকার করে তিনি অবসর নেন।
পরবর্তীতে দিমিত্রিও আলবার্তিনি এবং ডেনিস বার্গক্যাম্প এর বিদায়ী ম্যাচে তিনি কিছু সময়ের জন্য মাঠে নামেন ।
[সম্পাদনা] সম্মাননা
ক্লাব
- আয়াক্স আমস্টারডাম:
- ইউরোপিয়ান কাপ উইনার্স কাপ: ১৯৮৭.
- ডাচ লীগ: ১৯৮২, ১৯৮৩, ১৯৮৫.
- ডাচ কাপ: ১৯৮৩, ১৯৮৬, ১৯৮৭.
- এসি মিলান:
- ইউরোপিয়ান কাপ/চ্যাম্পিয়নস লীগ: ১৯৮৯, ১৯৯০
- ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ: ১৯৮৯, ১৯৯০.
- ইউরোপিয়ান সুপারকাপ: ১৯৮৯, ১৯৯০.
- ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নশীপ: ১৯৮৮, ১৯৯২, ১৯৯৩.
- ইতালিয়ান সুপার কাপ: ১৯৮৮, ১৯৯২, ১৯৯৩.
আন্তর্জাতিক
- ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশীপ: ১৯৮৮.
ব্যক্তিগত
- ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার: ১৯৯২.
- ওয়ার্ল্ড সকার প্লেয়ার অব দ্যা ইয়ার: ১৯৮৮, ১৯৯২.
- ইউরোপীয় বর্ষসেরা ফুটবলার: ১৯৮৮, ১৯৮৯, ১৯৯২.
- ইউরোপীয় গোল্ডেন বুট: ১৯৮৬.
- ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশীপ ১৯৮৮ সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়
- ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নশীপ সর্বোচ্চ গোলদাতা : ১৯৯০, ১৯৯২.
- ডাচ লীগ সর্বোচ্চ গোলদাতা : ১৯৮৪, ১৯৮৫, ১৯৮৬, ১৯৮৭.
[সম্পাদনা] ম্যানেজার হিসেবে ক্যারিয়ার
১৯৯৫ সালে এসি মিলান থেকে খেলোয়াড় হিসেবে অবসর নেয়ার পর বাস্তেন ফুটবল কোচিংয়ে না আসার সিদ্ধান্ত নেন । কিন্তু পরবর্তীতে তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত বদল করেন । ২০০৪ সালের ২৯ জুলাই রয়েল ডাচ ফুটবল এসোসিয়েশন তাকে ডাচ জাতীয় দলের দায়িত্ব দেয় ।
দলের দায়িত্ব পেয়েই বাস্তেন প্যাট্রিক ক্লুইভার্ট , এডগার ডাভিডস , ক্লারেন্স সিডর্ফ , রয় মেকে কে দল থেকে বাদ দেন । তার অধীনে ডাচ জাতীয় দলে আয়াক্স , পিএসভি আইন্দহোভেন , ফেইর্নুডের প্রতিপত্তি খর্ব হয় ।
২০০৬ সালের বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ড পর্তুগালের কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হয়ে বিদায় নেন । এ ম্যাচে রুদ ফন নিস্টেলরয় কে না খেলানোয় বাস্তেন ব্যাপক সমালোচনার শিকার হন ।
জার্মান মিডিয়ার খবর অনুযায়ী ২০০৮ সালে ডাচ ফেডারেশনের সাথে চুক্তি শেষ হয়ে যাবার পর বাস্তেন বায়ার্ন মিউনিখ দলের দায়িত্ব নেবেন।
[সম্পাদনা] বহিঃসংযোগ
পূর্বসূরী: রুদ খুলিত |
ইউরোপীয় বর্ষসেরা ফুটবলার ১৯৮৮-৮৯ |
উত্তরসূরী: লোথার ম্যাথিয়াস |
পূর্বসূরী: জা পিয়েরে পাপিন |
ইউরোপীয় বর্ষসেরা ফুটবলার ১৯৯২ |
উত্তরসূরী: রবের্তো বাজ্জো |
পূর্বসূরী: লোথার ম্যাথিয়াস |
ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার ১৯৯২ |
উত্তরসূরী: রবের্তো বাজ্জো |