শোলাকিয়া
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শোলাকিয়া বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় অবস্থিত একটি এলাকা। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত এখানে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।[১] প্রতি ঈদের জামাতে এখানে প্রায় ৩ লাখ মানুষ অংশগ্রহন করে থাকে।.[২] ঈদগাহটি নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ৭ একর এলাকা জুড়ে অবস্থিত। এখানে ২৫০টি কাতারে প্রায় ১৫০,০০০ মুসুল্লী একসাথে নামাজ পড়ে থাকেন। [২] প্রায় সমসংখ্যক মুসুল্লী পার্শ্ববর্তী মাঠ, রাস্তা এবং নিকটবর্তী এলাকায় দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজে অংশ নেন।[২]
অল্প কিছু নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা দুইতলা মিম্বরের ভবনটিতে নামাজ পড়েন, যেখানে প্রায় ৫০০ লোকের স্থান সংকুলান হয়।[২] ঈদুল ফিতর ছাড়াও ঈদুল আজহার নামাজেও অনুরূপ বিশাল জনসমাগম হয়ে থাকে। [৩] শোলাকিয়ার স্থানীয় অধিবাসীর সংখ্যা ১,০২৬, যা ১৮০ টি পরিবার নিয়ে গঠিত।[৪]
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা] প্রতিষ্ঠান
মুফতি আবুল খায়ের মো: শফিউল্লাহ ২০০৪ সাল থেকে ঈদের নামাজ পরিচালনা করছেন। তার আগে তার পিতা অধ্যাপক মুফতি আবুল খায়ের মুহাম্মদ নুরুল্লাহ, ১৯৭৫ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ২৮ বছর ধরে এই নামাজগুলো পরিচালনা করেন। [২] মুফতি নুরুল্লাকে এখনো তার সন্তান নামাজের সময় স্মরণ করেন। .[৫] জেলা কমিশনারকে (ডিসি) প্রেসিডেণ্ট করে ঈদগাছের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি আছে। [২] প্রতিটি জমায়েতে, জেলা পুলিশ প্রশাসক মেটাল ডিটেক্টর, মাইন ডিটেক্টর ও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাসহ প্রচুর পরিমাণ পুলিশ নিয়োগ করেন। মেডিকেল টিম ও অগ্নিনির্বাপক দলকে প্রার্থনা চলাকালে সতর্কাবস্থায় রাখা হয়। মুসলিম-প্রধান বাংলাদেশে ঈদ-উল-ফিতর হচ্ছে বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব এবং ঈদ-উল-আযহা দ্বিতীয় বৃহত্তম। [১]
[সম্পাদনা] ইতিহাস
হাইবাতনগর জমিদার পরিবারের স্থানীয় দেওয়ান সাঈদ আহমেদ প্রথম ঈদের জামাতের আয়োজন করেন ১৮২৮ সালে তার নিজস্ব তালুকে। স্থানীয় কিংবদন্তী মতে, ১,২৫,০০০ লোক সেই জমায়েত সেই দিনে এবং এর ফলে “শোলাকিয়া” নামটি (“সোয়া” নামে পূর্ণ এক এবং চার ভাগের একভাগ এবং “লাখ” মানে এক লক্ষ) নামটি চালু হয়ে যায়। আরেকজন স্থানীয় দেওয়ান মান্নান দাদ খাঁ, যিনি ঈশা খাঁ বংশধর ছিলেন, ঈদগাহের জন্য ৪.৩৫ একর জমি দান করেন।[২]
[সম্পাদনা] অন্যান্য সুবিধাবলী
শোলাকিয়া কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ সড়কের পাশে অবস্থিত এবং এলাকার বাণিজ্যিক শাখা। স্থানটি আর্সেনিক থেকে প্রায় সম্পূর্ণ মুক্ত এবং গঙ্গা বেসিনের হুমকির মুখে অবস্থিত।.[৬] খড়মপাটি ও কলাপাড়া মহল্লায় বিভক্ত শোলাকিয়ার একটি ক্রীড়া দল আছে।.[৭] ‘’সোলাকিয়া স্পোর্টিং ক্লাব’’ নামের এই দলটি স্থানীয় ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ইট ও টাইলস তৈরি স্থানীয় অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি।.[৮]
[সম্পাদনা] তথ্যসূত্র
- ↑ ১.০ ১.১ Eid-ul Fitr; Banglapedia; Retrieved on 2007-08-26.
- ↑ ২.০ ২.১ ২.২ ২.৩ ২.৪ ২.৫ ২.৬ Moklesur Rahman, Liton]]. "Sholakia Eidgah", Star Insight, Daily Star, 2006-10-28, pp. Cover page. 2007-08-22 তারিখে সংগৃহীত।. (English)
- ↑ The New Age, 2007-01-04, Retrieved: 2007-08-22
- ↑ Austragram Census Results at a glance (PDF). Census. Bangladesh Bureau of Statistics. Retrieved on 2007-08-22.
- ↑ From Drishtipat; Retrieved on 2007-08-26.
- ↑ Welltacker Columbia University; Retrieved on 2007-08-26.
- ↑ From the daily New Age; Retrieved on 2007-08-26.
- ↑ From craft central; Retrieved on 2007-08-26.