বাংলার শাসকগণ
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নিচে প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত বৃহত্তর বাংলা বা বঙ্গ অঞ্চলের শাসকগণের একটি তালিকা দেয়া হল। ঐতিহাসিক দলিলপত্র থেকে স্পষ্ট যে বাংলা মূলত অঙ্গদের অধীনে ছিল। পরবর্তীতে এর অধিকাংশ এলাকা মগধ সাম্রাজ্যের অধীনে আসে। মগধ সাম্রাজ্যের পতনের পর বাংলা কিছুকাল নৈরাজ্যে পতিত হয়, অতঃপর হর্ষবর্ধনের ঘোরশত্রু শশাঙ্ক এখানে রাজত্ব করেন। শশাঙ্কের মৃত্যুর পর অঞ্চলটিতে আবারও নৈরাজ্য বিরাজ করে এবং প্রায় এক শতক ধরে স্থানীয় গোত্রে গোত্রে ও রাজায় রাজায় লড়াই চলতে থাকে। রাজা গোপাল ও পালরাজবংশের পত্তনের মধ্য দিয়ে এই নৈরাজ্যের অবসান ঘটে এবং বাংলা এক ঐতিহাসিক স্বর্ণযুগে প্রবেশ করে। পালদের পতনের পর সেন রাজবংশের উত্থান ঘটে, কিন্তু শীঘ্রই মোঘল সুলতানদের আবির্ভাবে তাদের শাসনের অবসান ঘটে। অতঃপর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলাকে পদানত করতে সক্ষম হয় এবং দেশটি ব্রিটিশ শাসনের অধীনে আসে। ১৯০৫ সালে প্রথমবারের মত বঙ্গভঙ্গ করা হয় যা ধর্মীয় টানাপোড়েনকে উস্কে দেয় ও স্বাধীনতা আন্দোলনকে স্তিমিত করে। ভারতবর্ষ ভাগের পর পশ্চিমবঙ্গ ভারতে এবং পূর্ববঙ্গ পাকিস্তানের অংশ হয়। পূর্ববঙ্গ বাংলাদেশ হিসেবে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে।
[সম্পাদনা] প্রাচীন রাজবংশ
শাসন কাল | শাসক | দেশের সীমা |
---|---|---|
৪০০ খ্রি.পূ. | ঔগ্রসৈন্য (নন্দনবংশের রাজা উগ্রসেনের পুত্র) |
(গঙ্গা ও প্রাচ্য) |
৪০০ খ্রি.পূ. | মহারাজা চন্দ্রবর্মন | পুস্করন (বাঁকুড়া থেকে ফরিদপুর-পশ্চিম ও দক্ষিণ বঙ্গ) |
৪০০ খ্রি.পূ. | গুপ্ত বংশের রাজা | গুপ্ত অধিকারে বাংলা মোটামুটি দুইটি ভুক্তিতে বিভক্ত ছিল। পুন্ড্রবর্ধনভুক্তি ও বর্ধমানভুক্তি (বর্তমানের উত্তর ও পশ্চিমবঙ্গ) |
৫০৭-৫০৮ খ্রিস্টাব্দ | মহারাজাধিরাজ বৈন্যগুপ্ত | পূর্ববঙ্গ |
৫৪০-৫৮০ | গোপচন্দ্র | বঙ্গ |
৫৮০-৬০০ | সমাচার দেব | বঙ্গ |
৬০৬-৬২৫ | শ্রীমহাসামন্ত শশাঙ্ক[২] | গৌড়, দক্ষিণে গঞ্জাম ও উত্তরে কান্যকুব্জ পর্যন্ত |
৬২৫ | জয়নাগ | কর্ণসুবর্ণ |
৬৩৮-৬৪২ | অজানা[৩] | |
৬২৫-৭০৫ | খড়গ রাজবংশ[৪] খড়েগাদ্যম জাত খড়গ দেবখড়গ রাজারাজভট |
বঙ্গ, সমতট |
[সম্পাদনা] তথ্যসূত্র
- ↑ বাংলা ও বাঙালির কথা, আবুল মোমেন, সাহিত্য প্রকাশ পৃষ্ঠা-১১৮
- ↑ শশাঙ্কের নাম ছাড়াও শাসনের ঐতিহাসিক প্রমাণ পাওয়া গেছে
- ↑ ৬৩৮ সালে শশাঙ্কের মৃত্যুর পর অস্থিরাবস্থার সৃষ্টি হয়। চীনা পর্যটক হিউয়েন সাং সমতট, পুন্ড্রবর্ধন, কর্ণসুবর্ণ ও তাম্রলিপিকে স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন তবে শাসকদের কথা কিছু লিখেননি। অনেকে তাই ধারনা করেন এগুলো হর্ষবর্ধন সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত
- ↑ খড়গ বাংশের রাজারা বৌদ্ধ ধর্মালম্বী ছিলেন