ঠাকুর পরিবার
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আপনি নিবন্ধটিতে যথাযথ উৎস বা তথ্যসূত্র অনুপ্রবেশ করিয়ে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন।
ঠাকুর পরিবার প্রায় তিনশ বছর ধরে কলকাতার অগ্নণী পরিবার এবং পরিবারটি বাঙালি নবজাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে। পরিবার থেকে উঠে আসা বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ব্যবসা, সমাজ ও ধর্মীয় সংস্কার, সাহিত্য, শিল্প ও সঙ্গীতের জগতে ব্যাপক অবদান রেখেছে। এই পরিবারের সবথেকে সম্মানিত ব্যক্তিত্ব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা বলতে গিয়ে ঐতিহাসিক ডেভিড কপফ বলেন, "রবীন্দ্রনাথের জীবন ও আদর্শ কিছু ঐতিহাসিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট যা তাকে বাঙালি নবজাগরণে সর্বাধিক পরিপূর্ণ ব্রাহ্ম পরিবারের পরিবেশে জীবনধারণে ও পরিচর্যায় গড়ে তোলে।"
[সম্পাদনা] উতপত্তি
পূর্বে পরিবারটির পদবি ছিল কুশারী, যা বর্তমান বাংলাদেশের যশোর জেলা থেকে আগত। পঞ্চানন ও শুকদেব নামে দু’জন কুশারী গোবিন্দপুরএ বসত গড়ে তোলেন, যা পরবর্তীতে রূপান্তরিত কলকাতা শহরের একটি গ্রাম। তারা জাহাজ ব্যবসায় জড়িত হয়ে পড়েন। ব্রাহ্মণ হবার কারণে প্রতিবেশীরা তাদের ঠাকুরমশাই বলে ডাকতেন। ব্রিটিশরা দেশের ক্ষমতা অধিগ্রহণের পর “ঠাকুর” তাদের পারিবারিক পদবীতে রূপান্তরিত হয়। ইংরেজদের সুবিধার্থে তা ‘Tagore’ বা ‘ট্যাগোর’ এ রূপান্তরিত হয়।
দর্পনারায়ণ ঠাকুর (১৭৩১-১৭৯১), পরিবারের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে সুনাম অর্জন করেন। তিনি টাকা-ঋণ দিয়ে মুনাফা লাভ করেন এবং উপার্জনের সাথে সমানতালে খরচ করেন। দর্পনারায়ণের সাথে তার ভাই নীলমণি ঠাকুরের বিতণ্ডা হলে নীলমণি পরিবার নিয়ে মেছুয়াবাজারে চলে যান, যা পরবর্তীতে জোড়াসাঁকো নামে পরিচিত পায়। ধারাবাহিকতায় পরিবারের আরো কিছু শাখা পাথুরিয়াঘাট, কাইলাহাটা ও চরবাগানে চলে আসে। এই এলাকাগুলো ছিল নবগঠিত মহানগরীর অঞ্চল, বিশেষ করে যখন ব্রিটিশরা গোবিন্দপুরকে নতুন ফোর্ট উইলিয়াম হিসেবে গড়ে তোলে।