জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড (অমৃতসর হত্যাকাণ্ড) ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে অন্যতম কুখ্যাত গণহত্যা। ১৯১৯ সালের এপ্রিল ১৩ ইং তারিখে অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের অমৃতসর শহরে ইংরেজ সেনানায়ক ব্রিগেডিয়ার রেগিনাল্ড ডায়ারের নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এই শহরের জালিয়ানওয়ালাবাগ নামক একটি বদ্ধ উদ্যানে সমবেত নিরস্ত্র জনগণের উপর গুলিবর্ষণ করা হয়েছিল।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা] পটভূমি
১৭৫৭ সালে ভারতবর্ষ চিরকালের জন্য ইংরেজ শাসনের অধীনে আসে। শাসনের এক পর্যায়ে উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম থেকেই ভারতের উদীয়মান ধনিক এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে স্বায়ত্তশাসন এবং স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা জেগে উঠে। এই আকাঙ্ক্ষার সংহত রূপ প্রকাশ পায় ১৮৮৫ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। প্রথম দিকে এই রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য ছিল ইংরেজ শাসনাধীনে থেকেই ন্যায়বিচার এবং স্বায়ত্তশাসন লাভ। কিন্তু ইংরেজ সরাকারের পক্ষ থেকে এ দাবী মেনে নেয়া হয়নি। ইংরেজদের যুক্তি ছিল ভারতবর্ষ অনুন্নত বিধায় স্বায়ত্তশাসনের উপযুক্ত নয়। কিন্তু ভারতে এ ধরণের চিন্তাধারার প্রসার ঘটতে থাকে। ধীরে ধীরে এদেশের অনেক স্থানেই রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়, এক সময় ট্রলিগ্রাফ তারও বসানো হয়। কিছু কিছু কল-কারখানাও স্থাপিত হয়, মূলত কাপড়ের কারখানা প্রাধান্য বিস্তার করেছিল। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ঘটনার প্রভাবও এখানে পরিলক্ষিত হয়। ১৯০৫ সালে রাশিয়ার মতো বৃহৎ শক্তি ক্ষুদ্র এশীয় শক্তি জাপানের কাছে রুশ-জাপান যুদ্ধে পরাজিত হয়। একই সময়ে রাশিয়ায় স্বৈরাচারী জারের শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন দানা বেঁধে উঠে। ধনতান্ত্রিক দেশগুলোতে অর্থনৈতিক সংকট শুরু হওয়ায় এশিয়া এবং আফ্রিকার অনুন্নত দেশগুলো দখল করে নিজেদের মধ্যে বন্টন করে নেয়ার জন্য উন্নত দেশগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এরই ফল ছিল ১৯১৪ সালে শুরু হওয়া প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। এই যুদ্ধে জার্মানি ইংল্যান্ড তথা মিত্রবাহিনীর হাতে পরাস্ত হয়। যুদ্ধে ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীও অংশ নিয়েছিলো। ইংরেজ সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যুদ্ধে অংশ নিলে পরাধীন দেশগুলোকে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করা হবে। এই কথায় ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রদূত মহাত্মা গান্ধী সহ অনেকেই যুদ্ধে যোগ দেন এবং যুদ্ধে ভারতবাসীকে উৎসাহিত করেন।
১৯১৯ সালে যুদ্ধ শেষ হয়। কিন্তু ইংরেজ সরকারের নীতিতে কোন রকম পরিবর্তন দেখা যায়নি। যেসব সৈন্য যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল এসময় তাকে বেকার করে নিজ নিজ গ্রামে পাঠিয়ে দেয়া হয়। অর্থনৈতিক মন্দা এবং দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারিতে এক কোটির বেশি মানুষ মৃত্যুমুখে পতিত হয়। ভারতবাসীর মনে সন্দেহ ঘনীভূত হতে থাকে। এই সন্দেহ থেকেই ক্ষোভ এবং ইংরেজ বিরোধী মনোভাবের সূচনা ঘটে। এসময় ইংরেজ সরকার একদিকে যেমন মন্টেগু-চেমসফোর্ড শাসন সংস্কার আইন করে তাদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করে একই সাথে আবার রাওলাট আইন করে ইংরেজ সরকার বিরোধী সকল বিক্ষোভ কঠোর হাতে দমনের জন্য নির্যাতনমূলক আইন জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়। এই আইনের অধীনে বিনা কারণে গ্রেপ্তার, অন্তরীন ও সংক্ষিপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণহীন বিচার ও বন্দীত্বের বেপরোয়া পদক্ষেপ গৃহীত হয়। মহাত্মা গান্ধী তখন অহিংস এবং সত্যাগ্রহ তথা রক্তপতহীন আন্দোলনের মাধ্যমে এর প্রতিবাদের আয়োজন করেন। এই সালের এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে পাঞ্জাব যাওয়ার পথে গান্ধীজিকে গ্রেফতার করা হয়। এর প্রতিবাদে আহমেদাবাদের শিল্প শ্রমিক এবং পাঞ্জাবের সাধারণ জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। সরকার গান্ধীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। এর পরও বিক্ষোভ কমেনি। ধর্মঘটে এবং বিক্ষোভের লক্ষ্য হয়ে দাড়ায় সরকারী দপ্তর এবং যানবাহন। সাদা চামড়ার ইউরোপীয় কর্মকর্তা এবং অধিবাসীদের উপরও ভারতীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। তাদের উপরও আক্রমণ করা হয়। এপ্রিলের ১৩ তারিখ দুজন রাজনৈতিক নেতাকে অমৃতসর থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর পটভূমিতেই বলতে হয় হত্যাকাণ্ডের আকবহ তৈরী হয়েছিল।
[সম্পাদনা] হত্যাকাণ্ড
[সম্পাদনা] প্রতিক্রিয়া
[সম্পাদনা] স্মৃতিস্তম্ভসমূহ
[সম্পাদনা] মাইকেল ও'ডায়ার খুন
|
|
---|---|
Historical |
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন • বঙ্গভঙ্গ · ভারতের স্বাধীনতার বিপ্লবী আন্দোলন · দি ইন্ডিয়ান সোসিওলজিস্ট · শ্যামজী কৃষ্ণ বর্মা · ম্যাডাম কামা · জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড · ইন্ডিয়া হাউস • ভি ডি সবরকর • মদনলাল ধিংরা • দিল্লী-লাহোর ষড়যন্ত্র |
Ghadar Party |
লালা হরদয়াল •সোহন সিংহ ভকনা • ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্ক্লী • ঘদর পার্টি • হিন্দুস্তান ঘদর • ঘদর দি গুঞ্জ • তারকনাথ দাস • গুরান দিত্ত কুমার • কোমাগাতা মারু • ভাই ভগবান সিংহ • রাম চন্দ্র ভরদ্বাজ • কর্তার সিংহ সরাভা • বিষ্ণু গনেশ পিংলে • পন্ডিৎ কাশিঁ রাম
|
বার্লিন কমিটী |
বীরেন্দ্রনাথ চ্যাটার্জী • বার্লিন কমিটী •চম্প্করমন পিল্লাই •আয়াপ্পান রমন পিল্লাই •আব্দুল হাফিয মহম্মদ বর্কতুল্লা • ভুপেন্দ্রনাথ দত্ত • মহেন্দ্র প্রতাপ • হেরম্বলাল গুপ্ত
|
India |
যুগান্তর দল • অনুশীলন সমিতি • বাঘা যতীন •রাসবিহারী বসু •সচীন্দ্রনাথ সান্যাল • ভবভূষণ মিত্র • মানবেন্দ্রনাথ রায় • জ্ঞানী প্রীতম সিংহ • অমরেন্দ্রনাথ চ্যাটার্জী • অতূলকৃষ্ণ ঘোষ • দেওবন্দি আন্দোলন • মৌলানা মেহমুদ অল হাসান • উবেদুল্লাহ সিন্ধি
|
জার্মানি |
জার্মান বিদেশ দপ্তর • থেওবল্ড ফন বথ্নাম হলওয়েগ • আর্থার জিমার্মান • Intelligence Bureau for the East • ম্যাক্স ফন ওপেনহাইম •ফ্রান্জ ফন পাপেন • জোহান হাইন্রিখ ফন বার্নস্টর্ফ • জর্জ রডিয়েক • ওয়ার্নার অটো ফন হেন্টিগ • অস্কার ফন নীডের্মেয়ার
|
আইরিশ অবদান |
ক্ল্যান না গেল •আইরিশ রীপাব্লিকান ব্রাদারহুড •গেলিক আমেরিকান •জন ডীভয় •জোসেফ ম্যাকগ্যাড়িটি •রজারকেসমেন্ট • ঈমণ ডী ভ্যালেরা
|
Conspiracy |
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর • অ্যাণী লার্সেন ষড়যন্ত্র • George Rodiek • ১৯১৫র ভারত সুরক্ষা আইন • ঘদর ষড়যন্ত্র • ১৯১৫ সালের সিংগাপুর বিদ্রোহ • লাহোড় ষড়যন্ত্র মাম্লা • যুগান্তর-জার্মান ষড়যন্ত্র • রেশমী রুমাল ষড়যন্ত্র • Kabul Mission • [[[প্রভিশানাল গভারমেন্ট অফ ইন্]] • হিন্দু-জার্মানি ষড়যন্ত্র মাম্লা • Montagu-Chelmsford Reforms • সিড্নী রৌলট • রৌলট কমিটী • জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড •
|
Counter-intelligence |
W.C. Hopkinson • John Wallinger • Indian Political Intelligence Office • W. Somerset Maugham • Kirpal Singh • Oren • Vincent Kraft • William Wiseman • Charles Tegart • Guy Gaunt • Tomáš Masaryk • E. V. Voska
|
Related |
Lawrence of Arabia • Amir Habibullah •Third Anglo-Afghan war • Enver Pasha •Khedive Abbas Hilmi • Pan-Asianism • Toyama Mitsuru • Indian Independence League •Indische Legion •Indian National Army
|